সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল নবগঠিত টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ নভেম্বর বিকাল ৩টায় টেকনাফ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল হলো বিএনপির অন্যতম প্রাণ। মাঠে-ঘাটে কৃষকের ন্যায্য অধিকার আদায়ে এই সংগঠনের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। উপজেলা কৃষক দলের নতুন নেতৃত্বকে সাবেক ও বর্তমান সকল নেতাদের সমন্বয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ইউনিট পর্যায়ে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর কমিটি গঠন করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করাই হবে তোমাদের প্রধান দায়িত্ব।
উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুস শরীফ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রতিটি নেতাকর্মীকে দলমত-নির্বিশেষে সাধারণ কৃষকের পাশে থেকে তাদের সমস্যাবলি তুলে ধরতে হবে এবং বিএনপির কৃষিবান্ধব নীতিমালা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আমিন আবুল, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাহের, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর কামাল নুরু, হ্নীলা ইউনিয়ন উত্তর শাখা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিন্টু, এবং বাহারছড়া দক্ষিণ কৃষক দল নেতা মোহাম্মদ ফয়সাল।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন-
টেকনাফের কৃষক সমাজ আজ নানা সংকটে রয়েছ লবণাক্ততা, খরা, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বাজারে কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এসব কারণে যারা মাঠে কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়ছেন। নবগঠিত কৃষক দল টেকনাফের প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি শক্তিশালী ও জনমুখী সংগঠন গড়ে তুলবে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়মিত সভা-সমাবেশ করবো এবং কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্চার থাকবো।
তিনি আরও বলেন, সামনে যে রাজনৈতিক সময় আসছে, তাতে কৃষক দলের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে ত্যাগ ও পরিশ্রমের মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।
সভায় নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং টেকনাফের কৃষকদের উন্নয়ন, প্রণোদনা আদায়, বিভিন্ন সমস্যা স্বচ্ছতা ও কৃষকবান্ধব নীতির দাবিতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
